শিক্ষার্থীদের অভ্যুত্থান: ১ দফা দাবি এবং গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা
- Tanvir Hossain
- Aug 3, 2024
- 2 min read

ঢাকা, বাংলাদেশ – দেশের ছাত্র সমাজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নামছে। একজন ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী আসিফ মাহমুদের সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট থেকে জানা যায়, তারা এক দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন।
সামাজিক মাধ্যম পোস্টের বক্তব্য:
আমরা রক্তাক্ত কষ্টের পরে সুখ আসুক, নতুন গল্প নিয়ে ১ দফা দাবি
ইনশাআল্লাহ শিক্ষার্থীদের বিজয় হবেই হবে
নতুন ভোরের সূর্য সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা অফুরন্ত।বিজয় আসবেই, ইনশাআল্লাহ
গনতন্ত্র মুক্তি পাক স্বৈরাচার নিপাত যাক
ডাক পড়েছে, ডাক পড়েছে অভ্যুত্থানের ডাক পড়েছে...
অনেক হইছে, মার খাওয়া কর্মসূচি আর চাই না, আজ থেকে আর কোনো ৯ দফা থাকতে পারে না।"দফা ১ দাবি ১" স্বৈরাচারের পদত্যাগ। পদত্যাগ না করলে গণ ভবন ঘেরাও করে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
আন্দোলনের পটভূমি:
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের এই অভ্যুত্থান কোনো নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে রাস্তায় নেমেছে। তবে এবার তাদের দাবি একটাই - স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ। এই আন্দোলনটি পূর্বের আন্দোলনের ধারাবাহিকতার অংশ, যেখানে শিক্ষার্থীরা বারবার তাদের অধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে।
আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য:
আন্দোলনের সমন্বয়কারী আসিফ মাহমুদ তার পোস্টে স্পষ্ট করেছেন যে, শিক্ষার্থীরা আর অনেকগুলো দাবি নিয়ে আন্দোলন করতে চায় না। তাদের একমাত্র দাবি হলো স্বৈরাচারী সরকারের পদত্যাগ। শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করে যে, এই পদক্ষেপই তাদের জন্য স্থায়ী সমাধান আনতে পারে।
প্রতিবাদের ধরণ:
শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনকে শান্তিপূর্ণ ও সুসংগঠিত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা গণতন্ত্রের মুক্তি ও স্বৈরাচারের পতনের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। গণ ভবন ঘেরাও করে স্বৈরাচারের পতন নিশ্চিত করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে তাদের পোস্টে।
সমাজের প্রতিক্রিয়া:
এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন মোড় দেখা দিতে পারে। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শিক্ষার্থীদের এই সাহসী পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, শিক্ষার্থীদের এই ধরনের সরব আন্দোলন আগামীর বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:
আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। তাদের এই আন্দোলন কি ফলপ্রসূ হবে? তা সময়ই বলে দেবে। তবে তাদের এই সাহসী পদক্ষেপকে অনেকেই সাধুবাদ জানাচ্ছেন এবং তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করছেন।
শিক্ষার্থীদের বিজয় কামনা করে এবং গণতন্ত্রের মুক্তির প্রত্যাশায় সবাই এখন তাকিয়ে আছে এই আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবর্তনের জন্য শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
Comments