top of page

চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া কেউ রাজপথ ছাড়বেন না! আসিফ


### অভ্যুত্থানকারী ছাত্র নাগরিকদের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার গঠন ও অন্যান্য দাবি


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একাধিক দাবি উত্থাপন করেছেন। এই দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, ফ্যাসিস্ট ও খুনিদের বিচার, নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজবন্দীদের মুক্তি এবং নতুন বাংলাদেশের নির্মাণ।


### দাবির বিবরণ


**প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকার:**

ছাত্র নাগরিকদের প্রস্তাবিত অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছেন সমন্বয়করা। তারা জানিয়েছেন, "এর বাইরে কোন সরকার মেনে নেওয়া হবে না।"


**ফ্যাসিস্ট ও খুনিদের বিচার:**

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন, "ফ্যাসিস্ট, খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে করা হবে, পালানোর সুযোগ দেওয়া হবে না।"


**নিরপরাধ ও রাজবন্দীদের মুক্তি:**

সন্ধ্যার মধ্যে নিরপরাধ ব্যক্তি, রাজবন্দী ও গুমকৃত ব্যক্তিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ।


**ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ:**

নেতারা বলেছেন, "শুধু হাসিনা সরকারের পদত্যাগ নয়, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ করে নতুন বাংলাদেশ ও রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বিনির্মাণ করা হবে।"


**চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতিজ্ঞা:**

ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বলেছেন, "চূড়ান্ত বিজয় ছাড়া কেউ রাজপথ ছাড়বেন না।"


### প্রেক্ষাপট


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সংঘর্ষের মধ্যে এই দাবিগুলো উত্থাপন করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ এবং আন্দোলনের জেরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।


### বার্তা প্রেরক


এই দাবিগুলো যৌথভাবে প্রেরণ করেছেন মো. নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ, যাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


### প্রতিক্রিয়া


দেশের সাধারণ জনগণ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এই দাবিগুলোর প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ এটিকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ এর সম্ভাব্য পরিণতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।


### সমাপ্তি


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই দাবি এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই দাবিগুলোর প্রতি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে কী পরিবর্তন আসে।

コメント


bottom of page