top of page

কুমিল্লায় আশ্রয় না পেয়ে বিপদে পড়া শিক্ষার্থীদের আহ্বান: "আন্টি, আপনার পায়ে ধরি, একটু গেটটা খুলেন"

কুমিল্লা, ৩ আগস্ট, ২০২৪** – আজকের দিনটি কুমিল্লার ইতিহাসে এক গভীর ক্ষত হিসেবে থেকে যাবে। একদল শিক্ষার্থী বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য বাসা-বাড়িতে আশ্রয় খুঁজছিল, কিন্তু অনেকেই তাদের দরজা খুলে দেয়নি।


**আহ্বান ও হতাশা:**


এক শিক্ষার্থী বেদনাভরা কণ্ঠে বলেন, "আন্টি, আপনার পায়ে ধরি, একটু গেটটা খুলেন, আমাদের মাইরা ফেলবে!"। কিন্তু এ আকুতি শুনেও অনেক বাসিন্দা তাদের দরজা খোলেননি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কুমিল্লার বাসিন্দাদের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।


**কুমিল্লার সামাজিক পরিবেশ:**


কুমিল্লা শহরটি ছোট হলেও এখানকার মানুষজন একে অপরকে ভালোভাবে চেনে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় যেমন কান্দিরপাড় ও রানীর দীঘির পাড়ে প্রতিনিয়ত পরিচিত মুখের সাথে দেখা হয়। তাই আজকের এই অমানবিক ঘটনার জন্য অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।


**মানবিকতার দৃষ্টান্ত:**


যদিও অনেক বাসিন্দা দরজা খোলেননি, কিছু মানুষ তাদের মানবিকতার উদাহরণ রেখেছেন। একজন কুমিল্লার বাসিন্দা তার বাড়িতে শিক্ষার্থীদের আশ্রয় দেন এবং সেই শিক্ষার্থীটি তার স্কুলের এক শিক্ষকেরও সেখানে অবস্থান করতে দেখে কিছুটা স্বস্তি পান। অনেকেই শিক্ষার্থীদের বাসায় আশ্রয় দিয়েছেন এবং এই মানবিকতা এখনও কিছু মানুষের মধ্যে বেঁচে আছে।


**মর্মস্পর্শী ঘটনা:**


শিক্ষার্থীদের একাংশ বাগিঁচাগাও এবং ভূতের গলি এলাকায় তাদের ভাই-বোনদের লাশ দেখে অত্যন্ত মর্মাহত হয়। এই এলাকাগুলোতে তারা প্রতিদিন যাতায়াত করত, কিন্তু আজ সেখানে তাদের প্রিয়জনদের লাশ দেখে তারা অত্যন্ত ব্যথিত।


**শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন:**


শিক্ষার্থীরা হতাশা এবং ব্যথা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, "আচ্ছা, বাসার গেটগুলা খুলে দিলে কি হইতো?" এই প্রশ্ন তাদের মনের গভীর হতাশা এবং কষ্টের প্রকাশ।


**সমাপনী:**


আজকের এই ঘটনা কুমিল্লা শহরের মানবিকতার বিষয়টি নতুনভাবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। আশ্রয়ের অভাবে শিক্ষার্থীদের বিপদের মুখে পড়ার এই ঘটনাটি সবাইকে ভাবতে বাধ্য করেছে যে, মানবিকতা এবং সংবেদনশীলতা কিভাবে আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুমিল্লার বাসিন্দাদের নিজেদের মানবিক দিকটি পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে।

Comments


bottom of page