**বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কের আহ্বান: অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে জরুরি নির্দেশনা**
- Tanvir Hossain
- Aug 3, 2024
- 2 min read

ঢাকা, ৩ আগস্ট ২০২৪ - বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে অসহযোগ আন্দোলন সফল করতে বেশ কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছেন। এই আহ্বানের লক্ষ্য হলো দেশের চলমান বৈষম্য ও অবিচার দূর করে একটি সমতামূলক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
আসিফ মাহমুদের নির্দেশনাগুলো নিম্নরূপ:
১। কোন ধরণের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান না করা।
২। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি সহ কোন ধরণের বিল পরিশোধ না করা।
৩। সকল ধরণের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস, আদালত ও কল-কারখানা বন্ধ রাখা। অফিসে না গিয়ে মাস শেষে বেতন তোলা।
৪। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রাখা।
৫। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোন ধরণের রেমিটেন্স দেশে পাঠাবেন না।
৬। সকল ধরণের সরকারি সভা, সেমিনার ও আয়োজন বর্জন করা।
৭। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ না দেওয়া এবং কোন ধরণের পণ্য খালাস না করা।
৮। দেশের কোন কলকারখানা না চালানো এবং গার্মেন্টস কর্মীরা কাজে না যাওয়া।
৯। গণপরিবহন বন্ধ রাখা এবং শ্রমিকরা কাজে না যাওয়া।
১০। জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রবিবারে ব্যাংকগুলো খোলা রাখা।
১১। পুলিশ সদস্যদের রুটিন ডিউটি ব্যতীত কোন ধরণের প্রটোকল, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে না যাওয়া। শুধুমাত্র থানা পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে।
১২। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, তাই সকল অফশোর ট্রান্জেকশন বন্ধ রাখা।
১৩। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যাতিত অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি না করা। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে।
১৪। আমলারা সচিবালয়ে বা নিজ নিজ কার্যালয়ে না যাওয়া।
১৫। বিলাস দ্রব্যের দোকান, শো রুম, বিপনী-বিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা।
তবে, জরুরি সেবা যেমন হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা (ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহণ, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস), গণমাধ্যম, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহণ, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, এবং জরুরি ত্রাণ সহায়তা চালু থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১-১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "এই নির্দেশনাগুলো মেনে চললে আমাদের আন্দোলন সফল হবে এবং বৈষম্যমুক্ত একটি দেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।"
এটা এখন দেখার বিষয় যে, মুক্তিকামী ছাত্র-জনতা এই আহ্বান কতটা মেনে চলে এবং তা কিভাবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করে।
Comments