top of page

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইঁদুরের উৎপাত ভয়ে পালাচ্ছে বিড়াল ও

পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ইঁদুরের সমস্যা এতটাই বেড়েছে যে, রাজনীতিবিদদের জন্য এটি একটি বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় তলায় বিরোধী দলের নেতার কার্যালয়সহ বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ায়, সেখানে ইঁদুরের উৎপাত সবচেয়ে বেশি।


জাতীয় পরিষদের মুখপাত্র জাফর সুলতানের মতে, ইঁদুরগুলো এত বড় আকারের যে, বিড়ালেরাও তাদের দেখে ভীত হয়ে যায়। ফলে, রাতের বেলা পার্লামেন্ট ভবন ইঁদুরদের দৌড়ঝাঁপের স্থানে পরিণত হয়। ২০০৮ সালের এক বৈঠকের নথি খুঁজতে গিয়ে এই সমস্যাটি সামনে আসে, যেখানে দেখা যায় নথিগুলোর বেশিরভাগই ইঁদুরের দ্বারা কাটা হয়েছে।


এই সমস্যা মোকাবিলায় দেশটির কর্তৃপক্ষ বার্ষিক ১২ লাখ রুপি বরাদ্দ করেছে। ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে সিডিএ (ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি) ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার মধ্যে দক্ষ বিড়াল মোতায়েনের পাশাপাশি বিশেষ ইঁদুর ধরার ফাঁদ স্থাপনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।


জাতীয় পরিষদের কর্মকর্তারা জানান, দিনের বেলা ইঁদুরগুলো লুকিয়ে থাকে, তবে সন্ধ্যার পর থেকে ভবনের ভেতরে তারা ম্যারাথনের মতো দৌড়াতে শুরু করে। নতুন কর্মীরা প্রথমবার ইঁদুর দেখে আতঙ্কিত হলেও, কর্মচারীরা এর সাথে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। ইঁদুরের কারণে ধ্বংস হয়েছে বহু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, যা পার্লামেন্টের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।


এই পরিস্থিতিতে, ইঁদুর নিয়ন্ত্রণে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ভবনকে পুনরায় নিরাপদ ও কার্যকরী করার প্রচেষ্টা চলছে।

Comments


bottom of page